দীর্ঘকাল স্থায়ী হাঁটুর ব্যথা হল অনেকদিনের হাঁটুর ব্যথা যা থেকে হাটু ফোলা এবং দুটি হাঁটু দুর্বল হয়ে পড়ার মত লক্ষণ দেখা যায়। সাধারণত হাঁটুর ব্যথার কারণ এর জন্য হাঁটুর ব্যথার লক্ষণ গুলি আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। অনেক কারণে এমন হাঁটুর ব্যথা হয়ে যায় যা কিনা দীর্ঘকাল স্থায়ী থাকে যদিও তাদের চিকিৎসাও বর্তমানে সম্ভব। প্রত্যেক মানুষের দীর্ঘকাল স্থায়ী হাঁটুর ব্যথার অভিজ্ঞতা অন্য অন্য রকমের হতে পারে।
কী কী কারণে হাঁটুর ব্যথা হয়?
সাময়িক হাঁটুর ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হাঁটুর ব্যথা থেকে অনেকটা অন্য রকমের হয়। অনেক মানুষ সাময়িক হাঁটুর ব্যথা অনুভব করেন কোন খবর কারণে কিংবা কোন দুর্ঘটনার কারণে। যা সময়ের সাথে সাথে সহজে সেরে যায়। তবে দীর্ঘস্থায়ী যে হাঁটুর ব্যথা থাকে সেটি খুব কমই সহজে সারে, সেটিকে সারানোর জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। এই দীর্ঘ সে হাঁটুর ব্যথা অনেক কারণে কোন পরিস্থিতিতে হতে পারে।
যেসব শারীরিক পরিস্থিতি এবং রোগ হাঁটুর ব্যথার জন্য দায়ী হতে পারে সেগুলি হলঃ
অস্টিওআরথ্রারাইটিসঃ(osteoarthritis)
পরে গিয়ে হাঁটুর সংযোগস্থল বিচ্ছিন্ন হলে এবং তার থেকে যন্ত্রণা এবং প্রদাহ হলে সেটি অস্টিওআর্থারাইটিস এর কারণ হতে পারে।
টেনডেনাইটিসঃ(tendinitis)
হাঁটুর সামনের দিকে ব্যথা হলে এবং সেই ব্যথা আরো সিঁড়ি সিঁড়ি চড়লে বা কোথাও বেয়ে উঠলে বা উপরের দিকে হাঁটলে যদি বেড়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে এই রোগটি আছে।
বারসাইটাসঃ(bursitis)
বারবার ক্ষত জায়গায় ব্যথা লাগে যে প্রদাহ হয়।
কনড্রোমালেশা পাটেলাঃ(chondromalacia patella)
নি-ক্যাপের(knee cap) নিচে কার্টিলেজ ক্ষতিগ্রস্ত হলে।
আরও পড়ুনঃহাঁটুর ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন? জেনে নিন তার লক্ষণ এবং তার থেকে সতর্ক থাকার উপায়!
গাউটঃ
ইউরিক এসিডের মাধ্যমে যে আর্থারাইটিস হয় তাকে বলা হয় গাউট।
হাঁটুর হাড় সরে যাওয়াঃ
হাঁটুর হাড় সরে গেলে দীর্ঘস্থায়ী হাঁটুর ব্যথা সম্ভব।
মানিসকাস ছিঁড়ে গেলেঃ(meniscus tear)
হাঁটুর একাধিক কার্টিলেজ ছিড়ে গেলে দীর্ঘস্থায়ী হাঁটুর ব্যথা সম্ভব।
লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেলেঃ
এক বা একাধিক লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেলেও প্রচন্ড হাঁটুর ব্যথা সম্ভব।
হাড়ে টিউমর হলেঃ
এছাড়াও হাড়ে যদি টিউমার হয় তাহলে ও কখনও কখনও অস্বাভাবিক হাটুর যন্ত্রণা হয়ে থাকে।
যেই বিষয়গুলো হাঁটুর ব্যথা বাড়াতে সাহায্য করেঃ
১) হাটুতে কোন ক্ষত হলে তার থেকে রক্তপাত এবং সেটি ফুলে গেলে হাটুর একটি দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা জন্মাতে পারে, তবে সঠিকভাবে চিকিৎসা করলে তা নিরাময় করা সম্ভব।
২) ক্ষত জায়গায় বারবার ব্যথা লাগলে।
৩) সংক্রমণ হয়ে গেলে ক্ষত জায়গায়।
৪) শরীরচর্চা করার সময় ভুলভাল পদ্ধতিতে করলে।
৫) শরীরচর্চা করার আগে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সচল বা ওয়ার্ম আপ না করলে হাঁটুর ব্যথা হতে পারে।
৬) ভুলভাল পদ্ধতিতে হাটুর পেশিতে টান পড়লেও হাঁটুর ব্যথা সম্ভব।
হাঁটুর ব্যথা নিরাময়ের জন্য শহরের সবচেয়ে ভালো ডাক্তারের সন্ধান পেতে যোগাযোগ করনঃ