মানুষের শরীরে কিডনি বা বৃক্ষ শরীরের রক্ত কে বিশুদ্ধ করে এবং তার মধ্য থেকে বর্জ্য পদার্থ এবং বিভিন্ন ধরনের তরল পদার্থ নিষ্কাশিত করে তা মূত্র রূপে আমাদের শরীর থেকে বের করে দেয়। কিন্তু যখন আমাদের শরীরে অনেক বর্জ্য পদার্থ জমে যায় এবং আমাদের রক্তে সেরকম তরল পদার্থ থাকে না তখন সেই বর্জ্য পদার্থ গুলো কিডনি থেকে জমা হয় কিডনি স্টোন এ রূপান্তরিত হয়। এভাবেই আমাদের শরীরে কিডনিতে কিডনি স্টোন দেখা যায়।
এই কিডনি স্টোন হলে শরীরে কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। সেই লক্ষণ গুলো জানা থাকলে সহজে বোঝা যায় কিডনিতে স্টোন হয়েছে কিনা। ফলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসার মাধ্যমে তা সহজেই সারানো সম্ভব হয়।
যদি মানুষের শরীরে ছোট কিডনি স্টোন হয় তাহলে সেটি সহজেই মূত্রনালী দিয়ে বের হয়ে যায়। এছাড়াও কিডনিতে ছোট স্টোন হলে তার কোনো লক্ষণ ও বিশেষ দেখা যায় না।
যদি কিডনিতে বড় কিডনি স্টোন হয় তাহলে কিছু লক্ষণ শরীরে দেখা যায়।
সেই গুলি হল-
১) মূত্র ত্যাগ করার সময় যন্ত্রণা
২) মুত্র তে রক্তের উপস্থিতি
৩) কোমর এবং তলপেটে অসহ্য যন্ত্রণা
৪) সারাক্ষন বমি বমি ভাব
৫) এবং বমি হওয়া
যদি এই লক্ষণগুলোর মধ্যে আপনার শরীরে একটি ও লক্ষণ দেখা যায়, তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার ব্যবস্থা করুন।
কি কি কারণে কিডনি স্টোন হতে পারেঃ
যেকোনো মানুষেরই কিডনিতে স্টোন হতে পারে। তবে কিছু মানুষ আছেন যাদের কিডনিতে স্টোন হওয়ার আশঙ্কা একটু বেশি থাকে। সাধারণত মহিলাদের চেয়ে পুরুষদের কিডনিতে স্টোন হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
নিম্নলিখিত এই কারণগুলোর জন্য ও কিডনিতে স্টোন হতে পারেঃ
১) যদি আপনার আগে কিডনিতে স্টোন হয়ে থাকে তাহলে দ্বিতীয়বার হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
২) যদি আপনার পরিবারের কারোর কিডনি স্টোন হয়ে থাকে আগে তবে আপনার হওয়ার আশঙ্কা আছে।
৩) জল বেশি না খাওয়ার জন্য কিডনি স্টোন হতে পারে।
৪) বেশি পরিমাণে প্রোটিন সোডিয়াম এবং চিনি সেবন করলে হতে পারে কিডনিতে স্টোন।
৫) আপনার ওজন যদি বেশি থাকে তাহলেও হতে পারে এই রোগ।
৬) যদি আপনার পলিসিসটিক কিডনি ডিজিজ থেকে থাকে তা হলেও হতে পারে কিডনিতে স্টোন।
৭) আপনার মুখে যদি অধিক পরিমাণে সিস্টিন, অক্সালেট, ইউরিক অ্যাসিড কিংবা ক্যালসিয়াম বেশি থাকে তাহলে আপনার কিডনিতে স্টোন হওয়ার আশঙ্কা আছে।