সাধারণত কিডনির স্টোনের চিকিৎসা স্টোনের আকারের উপর নির্ভর করে। এছাড়াও স্টোনটি কি দিয়ে তৈরি এবং স্টোন টি কি ধরনের ব্যথা সৃষ্টি করছে এসবের উপরেও নির্ভর করে। এছাড়াও দেখা হয় কিডনি স্টোন মূত্রনালীকে বন্ধ করে দিচ্ছে কিনা। এইসব জিনিস জানার জন্য আপনি যখন আপনার চিকিৎসকের কাছে যাবেন তখন আপনার চিকিৎসক আপনাকে কিছু টেস্ট করতে দিতে পারেন। তার মধ্যে মূত্র পরীক্ষা, রক্ত পরীক্ষা, এক্সরে কিংবা সিটিস্ক্যান থাকতে পারে।

এইবারে আপনার এই পরীক্ষাগুলোতে যদি বের হয়ে যে আপনার কিডনির যে স্থানটি হয়েছে তা ছোট আকারে তাহলে আপনাকে ডাক্তার কিছু ওষুধ দিয়ে এবং প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে ছেড়ে দিতে পারেন। কিডনি স্টোন যদি ছোট থাকে তখন প্রচুর পরিমাণে জল খেয়ে তা মূত্রনালী দিয়ে বের করে দেওয়া সম্ভব হয়। কিন্তু আপনার কিডনি স্টোন টি যদি বড় আকারের হয় তাহলে সেটি আপনার মূত্রনালীকে বাধা দেয়। ফলে আপনার মুত্র প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয় এবং আপনার শরীরে ক্ষতি হয়। তাই বড় স্টোন বের করার জন্য ডাক্তার অন্য কোন চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।

এর মধ্যে একটি ট্রিটমেন্ট হল লিথত্রিপসি। এই চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে শরীরের ভেতর শক ওয়েভ দিয়ে আপনার কিডনি স্টোন কে ভেঙে টুকরো টুকরো করে দেওয়া হবে। তাতে সে ছোট টুকরো গুলিকে সহজে আপনার মূত্রনালী দিয়ে বের করে দেওয়া যায়। এই চিকিৎসা পদ্ধতি সাধারণত 45 মিনিট থেকে 1 ঘন্টা লাগে। এটির জন্য রোগীকে একটি জেনারেল অ্যানেসথেসিয়া দেওয়া হয় যাতে এই চিকিৎসা পদ্ধতি চলাকালীন রোগী ঘুমিয়ে থাকে এবং কোন রকম যন্ত্রণা তাকে সহ্য করতে না হয়।

আর একটি চিকিৎসা পদ্ধতি হল ইউটেরাসকপি। এই চিকিৎসা পদ্ধতি ও একটি জেনারেল অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে রোগীকে অচেতন করে করা হয়। এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে ডাক্তার একটি বড় যন্ত্র ব্যবহার করেন যাকে অনেকটা টিউব এর মত দেখতে। সেটি দিয়ে ডাক্তার রোগীর শরীরের স্টোরি খুঁজে বের করে তাকে ভেঙে ছোট ছোট টুকরো তে পরিণত করেন। যদি স্টোন ছোট আকারের হয় তাহলে ডাক্তার হয়তো ওটি কে বের করে দিতে পারবেন। তবে স্টোনটি যদি বড় আকারের হয় তাহলে ওটাকে আরো ছোট ছোট টুকরো তে ভাঙতে হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে লেজার ব্যবহার করা হয়। লেজার ব্যবহার করে ওই বড় স্টোনটিকে ছোট আকারে বিভক্ত করে নেওয়া হয় যাতে সেটি সহজেই মূত্রনালী দিয়ে মূত্রের মাধ্যমে বের হয়ে আসতে পারে।

আর যদি এটি সম্ভব না হয় তাহলে অপারেশন করতে হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে সাধারণত ডাক্তার রোগীর শরীর পরীক্ষা করে যেটি ভালো বোঝেন সেই সিদ্ধান্তই রোগীর হিতার্থে গ্রহণ করেন।

আরও পড়ুনঃহাঁটুর ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন? জেনে নিন তার লক্ষণ এবং তার থেকে সতর্ক থাকার উপায়!

Leave a comment