বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণের সমস্ত পদ্ধতির মধ্যে একটি হল এই egg donation পদ্ধতি।Egg Donation পদ্ধতিতে একজন গর্ভধারণ করতে সক্ষম মহিলা তার ডিম্বানু দান করে অন্য আর একজনকে গর্ভধারণ করতে সাহায্য করে।এই পদ্ধতিটি অ্যাসিসটেড রিপ্রোডাক্টিভ টেকনলজির অন্তর্ভূক্ত।
এই পদ্ধতিতে মূলত একজন ডাক্তার একজন গর্ভধারণ করতে সক্ষম মহিলার ডিম্বানু নিয়ে নেন।এরপর সেটিকে তিনি ল্যাবরেটরিতে ফার্টিলাইজ করেন পরে সেই উর্বর ডিম্বানুটিকে তিনি সন্তান উতপাদনে অক্ষম মহিলার গর্ভে স্থানান্তরিত করে দেন।ডাক্তাররা এই উর্বর ডিম্বানুকে অন্য গর্ভে স্থানান্তর করার কাজটি আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে করে থাকেন।
আইভিএফ সম্পর্কিত সমস্ত সমস্যা এবং স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত সমস্যার জন্য গৌতম খাস্তগীরের Birth Clinic-এ যান।
কখনো সংস্থার ডাক্তার এই সংগ্রহ করা ডিম্বানুকে সংরক্ষণ করে রাখেন পরবর্তীকালে অন্য সন্তানকামী মহিলাকে সন্তানধারণ করতে সাহায্য করার জন্য ।Egg Donation পদ্ধতিটি অনেক মহিলা যারা প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে গর্ভধারণ করতে পারেন না তাদের সন্তানলাভ করতে সাহায্য করে।
Egg Donation কীভাবে অন্যান্য মহিলাদের সাহায্য করতে পারে?
Egg Donation পদ্ধতি সাধারনত সেইসব মহিলাকে সাহায্য করে যারা বিভিন্ন কারণের জন্য প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় সন্তান উৎপাদনে অক্ষম হন। এই অক্ষমতার পেছনে যেসব বিভিন্ন কারণ রয়েছে তার মধ্যে একটি ওভারিয়ান ফেলিওর হতে পারে এবং আরেকটি জন্মগত কোনো রোগ যা অবহেলিত হয়ে রয়েছে সেটির কারণেও হতে পারে।
2014 সালে প্রকাশিত ফার্টিলিটি এন্ড স্টারিলিটি নামক এক গবেষণা পত্রিকায় বলা হয়েছে যে সমস্ত ফার্টিলিটি কেন্দ্রের 93% কেন্দ্র এক ডোনেশন পদ্ধতি কেই বেশি প্রাধান্য দেয়। এই গবেষণাপত্রে দেখানো হয়েছে যে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে বহু নারী সফলভাবে সন্তান জন্ম দিতে সক্ষম হয়েছেন।
Egg Donation পদ্ধতি অবলম্বনে কীকী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে?
এই পদ্ধতিতে যদিও বিপদের আশঙ্কা খুব একটা বেশি নেই কিন্তু মাঝে মাঝে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সংকটজনক হতে পারে। যদিও এই পদ্ধতির প্রক্রিয়া বা যে পদ্ধতিতে এর চিকিৎসা করা হয় সেটি একজন প্রাকৃতিক নিয়মে সন্তান ধারণকারী নারীর চিকিৎসা পদ্ধতির মতই।
ডিম্বানু প্রতিস্থাপনের সময় কিছু বিপদ বা কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সামনে আসতে পারে যা কিনা খুব একটা সাধারণ নয়।
১) কিছু কিছু মহিলার এই পদ্ধতিটি চলাকালীন যখন ইনজেকশনের সূচটি ডিম্বাশয়ের ভেতর ঢোকে তখন রক্তক্ষরণ হতে পারে। এই রক্তক্ষরণ কখনো কখনো কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের যেমন কিডনি কিংবা ব্লাডারের ক্ষতির ইঙ্গিত হতে পারে।
২) কোন নারীর শরীর থেকে ডিম্বাণু নিষ্কাশিত করার সময় কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডিম্বাণু নিষ্কাশিত করার সময় প্রচুর পরিমাণে রক্তক্ষরণ এবং ভীষণভাবে যন্ত্রণা দেখা দিতে পারে।
৩) এই পদ্ধতি চলাকালীন ইনফেকশন দেখা দিতে পারে তার মধ্যে একটি কারণ হলো এই প্রক্রিয়া চলাকালীন ডাক্তাররা বিভিন্ন ধরনের এন্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করেন। আর এটি জানা কথাই যে অ্যান্টিবায়োটিকের বিভিন্ন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে।
আইভিএফ সম্পর্কিত সমস্ত সমস্যা এবং স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত সমস্যার জন্য গৌতম খাস্তগীরের Birth Clinic-এ যান।
৪) কিছু কিছু সময় ডাক্তাররা যেসব ওষুধ খেতে নির্দেশ দেন দাতার ডিম্বাণুর ডিম্বস্ফোটন এর জন্য তা মাঝে মাঝে OHSS এর কারণ হতে পারে। যদিও এইটি হালকা প্রকৃতির হতে পারে কিন্তু কখনও কখনও এটি ভীষণভাবে গম্ভীর প্রকৃতি ধারণ করে। সবক্ষেত্রেই অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
এই পদ্ধতি চলাকালীন কোন কোন সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত?
১) হঠাত করে অস্বাভাবিকভাবে ওজন বৃদ্ধি পেলে।
২) শ্বাস প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হলে।
৩) ঘন ঘন বমি বমি ভাব দেখা দিলে বা গা গোলালে।
৪) পেটে বা তলপেটে অস্বাভাবিক ব্যথা হলে।
Egg Donation পদ্ধতিতে দাতা হতে গেলে কী কী বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন?
কিছু কিছু বিষয় আছে যেইগুলো একজন নারীকে এই পদ্ধতিতে দাতা হতে বাধা প্রদাণ করতে পারে। যে নারী তার ডিম্বানু দান করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাকে এই বিষয়গুলি সম্বন্ধে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
১) সফল গর্ভধারণ জিনঘটিত রোগের সম্ভাবনাকে কমিয়ে দেয়।
২) দাতাকে অবশ্যই ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে সাধারণত এই বয়সের নারীদের শরীরই এই পদ্ধতির চিকিৎসা পদ্ধতিতে সারা দেয়।
৩) দাতার শরীর যেন সবরকম সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকে।
কোলকাতায় কোথায় কোথায় এই পদ্ধতির সুবিধা পাওয়া যায়?
কোলকাতায় বর্তমানে বেশ অনেকগুলোই IVF Center আছে যেখানে সফলভাবে এই পদ্ধতিত অবলম্বণ করা যায়ঃ
- Season IVF center
- Care fertility solutions Pvt limited
- Indira IVF hospital
- Amri medical center