একটু বেশি কাজ করলে অথবা খুব বেশিক্ষণ বশে থাকার পরেও আমাদের শরীরে ব্যথা হতে পারে। কিন্তু সেই ব্যথার উৎপত্তি ঠিক কি থেকে তা জানা খুব দরকার। কারণ অনেক সময় আপনার থাইরয়েড থেকেও কিন্তু আপনার ব্যথা বেদনার সূত্রপাত হতেই পারে।
কীভাবে বুঝবেন আপনিও থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত?
১. যাঁরা থাইরয়েডে আক্রান্ত তাঁদের অনেক সময় মাংস পেশীতে টান ধরে এবং জয়েন্টে ব্যথার সৃষ্টি হয়। এই ব্যথা সাধারণত হাতে এবং পায়ের পেশীগুলিতেই লক্ষ্য করা যায়। অনেক সময় থাইরয়েডের পরিমাণ শরীরে বেড়ে যাওয়ার ফলে শরীর খুব ক্লান্ত লাগে।
২. থাইরডেয়ের সঙ্গে গলার বিভিন্ন সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। থাইরডেয় গ্রন্থির সম্প্রসারণ হওয়ার জন্যই আমাদের গলায় সমস্যার সৃষ্টি হয়। গলা ধরে যেতে পারে, গলার আওয়াজ পরিবর্তন, গলায় ব্যথা প্রভৃতি লক্ষ্যণগুলি দেখতে পাওয়া যায়।
৩. থাইরয়েড খুব বেশি পরিমাণে বাড়লে তা চুল এবং ত্বকের ওপর অনেক বেশি প্রভাব ফেলে। যেমন প্রচুর পরিমাণে চুল উঠে যায়ে। এমনকি চুল ভঙ্গুর হয়ে পড়ে এবং আস্তে আস্তে সব চুল উঠে যেতে থাকে। এছাড়া ত্বক খুব মোটা হয়ে যায় এবং খসখসেও হয়ে যেতে থাকে।
৪. কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা এবং পেটের বিভিন্ন সমস্যা ধরা পরে। খাবার ঠিক করে হজম হয় না। যার জন্য ডাইরিয়া এবং পেটে ব্যথা হতে পারে।
৫. ঋতুচক্র ঠিক মতো হয় না। ঠিক সময় মতো অথবা ঋতুচক্রের সময় পেটে অসম্ভব ব্যথা হয়। এছাড়া গর্ভাবস্থায় থাইরয়েডের জন্য অনেক সমস্যা দেখা দেয়। যেমন ভ্রুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৬. যদি আপনার রাগ এবং অবসাদ বেড়ে যেতে শুরু করে তাহলে ভাববেন আপনার থাইরয়েড হয়েছে। কারণ এই থাইরয়েডের জন্যই অনেক সময় অবসাদে ভুগতে দেখা গেছে অনেককে। এর থেকে মেজাজ খিঁটখিঁটেও হয়ে যেতে পারে।
৭. আপনি হয়ত ডায়েটের কোনও পরিবর্তন করছেন না, তা সত্ত্বেও যদি আপনার ওজন বেড়ে যেতে থাকে তাহলে কিন্তু থাইরয়েড পরীক্ষা করান। কারণ থাইরয়েডে অনেক সময় ওজন বেড়ে যেতে পারে আবার ওজন অস্বাভাবিক কমেও যেতে পারে।
এই রোগে কী কী খাওয়া একেবারে উচিৎ নয়ঃ
কিছু খাদ্য আছে যা থাইরয়েডের রোগীদের একেবারেই খাওয়া উচিৎ নয়, সেগুলি হল-
১) ব্রোকলি
২) ফুলকপি
৩) বাঁধাকপি
৪) রাঙা আলু
৫) চা
৬) কফি
৭) সরষে
৮) মুলো
৯) চকলেট
১০) কোল্ড ড্রিংকস
থাইরয়েড প্রতিকার করার উপায়ঃ
থাইরয়েড রোগের হাত থেকে মুক্তি পেতে চাইলে রোজ সকালে খালি পেটে লাউয়ের রস খেতে হবে। এবং এটা খাওয়ার পরে এক গ্লাস জলে এক-দু ফোঁটা তুলসীপাতার রস এবং সামান্য পরিমাণ অ্যালোভেরা পাতার রস মিশিয়ে পান করুন। এরপরে আপনি আধ বা এক ঘণ্টা কিছু খাবেন না। নিয়মিত এই পদ্ধতিটি অনুশীলন করলে থাইরয়েড রোগ দ্রুত নিরাময় করা সম্ভব।
১) নিয়মিত আধ থেকে এক ঘণ্টা অবশ্যই ব্যায়াম করবেন। ব্যায়াম করলে শরীর ভালো থাকে এবং থাইরয়েড নিয়ন্ত্রনে থাকে।
২) ডাবের জল থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণের জন্য সহায়ক। নিয়মিত ডাবের জল থাইরয়েডের রোগীদের জন্য উপকার।
৩) থাইরয়েড রোগীদের খাবারে ভিটামিন এ পরিমাণ বৃদ্ধি করা উচিত। ভিটামিন এ ধীরে ধীরে থাইরয়েড হ্রাস করে। ভিটামিন এ গাজর এবং সবুজ শাক সবজি মধ্যে উচ্চ পরিমাণে পাওয়া যায়।
৪) আপনি থাইরয়েড কমাতে চান, তাহলে কালো মরিচ খাওয়া শুরু করুন। কালো মরিচ খাওয়ার মাধ্যমে, থাইরয়েড নিরাময় করা সম্ভব। আপনি যে কোন উপায়ে কালো মরিচ ব্যবহার করতে পারেন।