যৌনাঙ্গে সংক্রমণ আজকাল মহিলাদের জন্য একটা কমন প্রবলেম। বাথরুম করার সময় জ্বালা, যৌনাঙ্গে চুলকানি, যৌনাঙ্গের পাশে ফুসকুড়ি, অতিরিক্ত সাদাস্রাব যেকোনও লক্ষনই দেখা দিতে পারে এই সংক্রমণের কারণে।
অনেকেরই ধারণা, এই সংক্রমণে কোনও জীবানুর হাত রয়েছে। যা সম্পূর্ণ ভুল। ক্যানডিডা এলবিকান নামে একধরণের ছত্রাকের বাড়াবাড়ির কারণেই এই সমস্যা হয়। অনেক সময় অবশ্য অতিরিক্ত শারীরিক মিলন, হরমোন থেরাপি বা গর্ভনিরোধক ওষুধের কারণেও এই সংক্রমণ হতে পারে। তবে ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই।
আইভিএফ সম্পর্কিত সমস্ত সমস্যা এবং স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত সমস্যার জন্য গৌতম খাস্তগীরের Birth Clinic-এ যান।
চিকিৎসাবিজ্ঞান এখন অনেক উন্নত। সঙ্গে রয়েছে ঘরোয়া উপায়ও।
১. দই: ল্যাক্টব্যাকিলাস অ্যাসিডফিলাস নামে একধরনের ভাল ব্যাকটেরিয়া রয়েছে দইয়ে। আপনার শরীরকে যেকোনওরকম ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে। যেখানে খুব চুলকানি হচ্ছে বা সংক্রমণের প্রভাব পড়েছে, ২০-৩০ মিনিট দই লাগিয়ে রাখুন। তারপর ইষদুষ্ণ জলে ধুয়ে নিন। কাজ হবে। সরাসরি যৌনাঙ্গেও দই লাগাতে পারেন। দিনে দু’বার লাগান। ঘণ্টা দুই রেখে ধুয়ে নিন।
২. নারকেল তেল: নারকেল তেলে অ্যান্টিফানগাল উপকরণ থাকে যা ছত্রাককে ধরাশায়ী করতে খুব কার্যকরী। সংক্রমণ এলাকায় (যৌনাঙ্গের ভিতরে আবার লাগাবেন না যেন) ভালভাবে নারকেল তেল লাগান। দিনে ২ থেকে ৩ বার লাগালে কাজ দ্রুত হবে। সঙ্গে একটু দারুচিনি তেল মিশিয়ে নিলে সংক্রমণ আর ছড়ানোর ভয় থাকবে না।
৩. অ্যাপল সিডার ভিনিগার: এতে এমন কিছু উপাদান আছে যা ছত্রাকের সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। হাল্কা গরম জলের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ অ্যাপল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে কিছু দিন খান তো। দিনে দু’বার করে কিন্তু। দেখি কাজ হয় কি না। সাদা ভিনিগার বা অ্যাপল সিডার ভিনিগার জলে মিশিয়ে সংক্রমণের জায়গায় লাগাতে পারেন। এতেও কাজ হবে।
৪. রসুন: অ্যান্টিফাংগাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং ঘরোয়া অ্যান্টিবায়োটিক হিসাবে রসুনের জুড়ি নেই। কয়েক কোয়া রসুন নিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। যেসব জায়গায় ফুসকুরি হয়েছে বা জ্বলছে বা চুলকাচ্ছে লাগিয়ে রাখুন। এক কোয়া রসুন খেতে পারেন রোজ। ছত্রাক নিরাময়ে বেশ উপকারি।
যতটা সম্ভব ঢিলেঢালা পোশাক পড়তে হবে । আপনার অন্দর-মহলে হাওয়া বাতাস খেললে ছত্রাক ছরি ঘোরানোর সুযোগ কম পাবে। আর সেক্ষেত্রে সুতির পোশাক হলেই ভাল। এই সময় রিল্যাক্স করাটা খুব দরকার। সঙ্গে সংক্রমণের জায়গাটা সবসময় পরিষ্কার রাখবেন। বেশি করে জল খাবেন। দেখবেন সেরে উঠছেন।আর যদি দেখেন এতেও সারছে না তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।